অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ হাজিদের নিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮১০ ফ্লাইটটির যাত্রা শুরুর কথা ছিল সৌদি স্থানীয় সময় ২টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু সেই ফ্লাইটটি প্রায় দুই ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন হাজিরা।
ওই এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটির মাধ্যমেই এবার হাজিরা দেশে ফেরা শুরু করেছে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসভি-৮১০ অবতরণ করে। ৫৭০ আসনের এ উড়োজাহাজটিতে প্রায় ৪শ’ হাজী ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বিমানবন্দরে নেমেই ভুক্তভোগী হাজিরা বাংলানিউজকে বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্স বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রায় দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে যাত্রা শুরু করেছে। টিকিটের গায়ে সৌদি সময় ২টা ৩০ মিনিটে যাত্রা লেখা থাকলেও সোয়া চারটার দিকে প্লেনটি ছেড়েছে। এতে হাজিরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
হাজি মোহাম্মদ ইবনে ফারুক বলেন, অহেতুক দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হলো। অথচ বিলম্বের কারণও আমাদের জানানো হয়নি। তবে এহসান এয়ার ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে তিনি হজ করতে গিয়ে ভালো সেবা পেয়েছেন বলেও জানান।
হাজি মোহাম্মদ এইচ এম নুর এ আলম বলেন, ভালোভাবেই হজ করেছি। তবে ফিরতি পথে সৌদি এয়ারলাইন্স একটু বিলম্ব করেছে। এছাড়া তেমন কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
জানা গেছে, সৌদি এয়ারলাইন্স এবার ১৫ হাজার হাজিকে দেশে আনবে।
এদিকে হাজিদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের জন্য অপেক্ষামান আত্মীয়-স্বজনরাও ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে সময় পার করেছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনালের বাইরে সকাল থেকেই হাজিদের স্বজনরা দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ফ্লাইট আসার কোনো নাম নেই। এদিকে ফ্লাইট আসার পরও লাগেজ আসতে দেড়ঘণ্টার মতো সময় লেগে যায়। ফলে অনেকের সঙ্গে থাকা ছোট সন্তানকেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
মোহাম্মদ ফয়সাল কবীর বলেন, তার ভাইয়ের জন্য ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টার্মিনালের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। ফ্লাইটের কোনো খবর নেই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও হজের ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) খান মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে আটটায় প্রথম ফ্লাইটে মোট ৪১৯ জন হাজি দেশে ফেরার পর আরো ১ মাস কার্যক্রম চলবে। সর্বশেষ ফ্লাইটটি পরিচালিত হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। এ সময় সর্বমোট ৪৯ হাজার ৫৪৫ জন হজযাত্রী দেশে ফিরে আসবেন।
মাসব্যাপী গৃহীত ফিরতি হজ-ফ্লাইট কার্যক্রমের আওতায় ডেডিকেটেড ও সিডিউল মিলিয়ে মোট ১৩৭টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এ সময়ে জেদ্দা-চট্টগ্রাম ও জেদ্দা-সিলেট রুটেও সরাসরি প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজ ফ্লাইট পরিচালিত হবে।